অপজিশনরা চোঁখ থাকতে অন্ধ : শেখ হাসিনা
সুজা তালুকদার চট্টগ্রাম থেকে
দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশের প্রথম টানেল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল জানুয়ারিতে যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে টানেলের ৯৪ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আর আজ শনিবার টানেলের দক্ষিণ টিউবের নির্মাণ কাজের সমাপ্তি উদযাপন করে জমকালো উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যার যার অবস্থান থেকে আমরা নিরলস পরিশ্রম করব যাব নিজেদের দক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
২০৪১ অবদি উন্নয়নের ধারা বহাল রাখার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন,‘২০১০ থেকে ২০২০ আমাদের উন্নয়ন প্রকল্প আমরা বাস্তবায়ন করেছি। এবার ২০২১ থেকে ২০৪১ পর্যন্ত বাংলাদেশ হবে উন্নত-সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ। কাজেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ গড়া ও পরিকল্পনা প্রণয়ন করে আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। ইনশায়াল্লাহ বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রা আর কেউ থামাতে পারবে না। আমাদের এই উন্নয়ন অনেকের চোঁখে পড়ে না। তাদের হয় চোঁখ নষ্ট, চোঁখের ডাক্তার দেখাতে পারে। আমরা ভাল আই ইনিস্টিটিউট করে দিয়েছি। সেখানে চোঁখ দেখালে তারা হয়তো দেখতে পাবে। কেউ যদি চোঁখ থাকতে অন্ধ হয়, তাহলে আমাদের কিছু করার নাই। আমি মনে করি আমাদের অপজিশনরা চোঁখ থাকতে অন্ধ। তারা চোঁখ থাকতেও অন্ধ, তারা দেখেও না দেখার ভান করে। নিজেরা কিছু করতে পারেনি। আগামীতেও কিছু করতে পারবে না, দেশকে কিছু দিতেও পারবে না। হ্যাঁ ক্ষমতায় বসে নিজেরা খেতে পারবে। অর্থ চোরা চালান করতে পারবে। ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরা চালান, অর্থ চোরা চালান এ গুলোই করতে পারবে। মানুষের কল্যাণে কাজ করেনি, আগামীতেও করতে পারবে না এটাই বাস্তবতা।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন,‘আমি আজ সত্যিই আনন্দিত, আমরা যে কাজ শুরু করেছিলাম, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এর কাজ এর দক্ষিণ টিউবের সমাপ্ত হয়েছে। এই এর সমাপ্তির উৎসব উদযাপন করছি। আর কিছু দিনের মধ্যে ২য় টিউবের কাজ সম্পন্ন হবে। এরপর পুরো টানেলটা আমি উদ্বোধন করব। এটা এখনও উদ্বোধনের মতো, কিন্তু এটা টিউব দিয়ে যাতায়াত করা সমীচিন হবে না। সে কারণেই আমরা এটা উদ্বোধন করে দিচ্ছি না।’
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের পর চট্টগ্রামে টানেলের সামনে বিশাল আয়োজেনের মধ্যে দিয়ে জায়েন্ট স্ক্রিনে মিডিয়া সহ সরকারী কর্মকর্তা ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাবৃন্দ টানেলের ভিডিও চিত্র দেখেন।
টানেলের শুরু এবং শেষ প্রান্ত ভিডিও প্রদর্শন করা হয়।